প্রকাশিত: ২৯/০৩/২০১৮ ৭:৩৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫২ এএম

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ::
টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে মোটর সাইকেল নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ, বড় বড় চালানে মালিক ধরা না পড়া, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র, সোর্স মানি হিসাবে ইয়াবা দেয়া, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অপতৎতা বৃদ্ধি, পাহাড়ী ঢালায় পুলিশী টহল হ্রাস, সেন্টমার্টিনদ্বীপে জেলেদের ছদ্মবেশে ইয়াবার চালান ছিনতাই, যানজট, খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী, রাতারাতি ধনী হওয়াদের আইনের আওতায় আনা, জনপ্রতিনিধি ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ততা, ইভটিজিং, শামলাপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে বকেয়া বিল প্রানবন্ত আলোচনা হয়েছে। বুধবার ২৮ মার্চ সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভা দু’টির সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি বলেন ‘সরকার ইয়াবা নির্মুলে বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের জনসভায় এব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান এবং খুচরা বিক্রেতা ও সেবনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে একাধিক চালান ধরাও পড়েছে। বিশেষ করে খুচরা বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের সংখ্যা গ্রামাঞ্চলে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম পুলিশ, মেম্বার, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেয়র যৌথভাবে নিরপেক্ষভাবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ তালিকা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করতে হবে। সীমান্তে সকল বাহিনীর গোয়েন্দা এবং সোর্স থাকা সত্বেও প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদাররা ধরা পড়ছেনা। কারা ব্যবসায়ী আর গডফাদার তা আইনশৃংখলা বাহিনী ও সাংবাদিকরা জানেন। নীরব থাকলে আল্লাহর গজব পড়বে। ইয়াবার যোগান বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দাম কমে গেছে। ইয়াবার বড় বড় চালান ধরা পড়ে।
আটককারী সংস্থাগুলো মিডিয়াতে প্রেস রিলিজ পাঠান। সংবাদকর্মীরা উক্ত প্রেস রিলিজের বরাত দিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করছে। কিন্ত নেপথ্যে থেকে চমকপ্রদ ঘটনা। আটককৃত ইয়াবার সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। মানুষ এখন আগের মতো নেই। সকলেই সচেতন। অল্প সময়ের মধ্যেই জানাজানি হয়ে যায় প্রকৃতপক্ষে আটককৃত ইয়াবার সংখ্যা কত ছিল। সোর্স মানি হিসাবে সোর্সদের দেয়া হচ্ছে ইয়াবা। এসব ইয়াবা তারা অবাধে বিক্রি করছে। এতে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতা ও সেবনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে ইয়াবার বড় বড় চালান খালাস হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া ইয়াবা ব্যবসাকে নিরাপদ করতে সব ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই দামী অস্ত্র কিনে ব্যবহার করছে। সর্বত্রই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী শুনা যাচ্ছে। জালিয়াপাড়ার রেজা, আবদুল্লাহ ও আবদুল জব্বার প্রত্যেকে রাতারাতি কিভাবে ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এধরণের আরও অনেকে রয়েছে। আমি সব সময় ইয়াবার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। এখনও কঠোর অবস্থানে আছি। কড়াকড়ি করলেই পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে নিউজ হয়। অথচ ইয়াবার সাথে আমি কোন কালেই জড়িত ছিলামনা। এখনও নেই। এজন্যই আমি মহান সংসদে চ্যালেঞ্চ করেছি’। এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সাংবাদিক এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন ‘ইয়াবা কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবেনা। এ ইয়াবাই সব কিছু সর্বনাশের মুল। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পেছনেও ইয়াবা। আপনারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করুন। আমি বা অন্য কেউ তাদের জন্য সুপারিশ এবং তদবির করবেনা। সে যত বড় টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী হউক, আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের অন্য সব উপজেলার চেয়ে আমার নির্বাচনী এলাকা টেকনাফ-উখিয়া অতিরিক্ত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের বসবাস সত্বেও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তুলনামুলক ভাল। মাদকের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সকে বাস্তবায়ন করতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ইয়াবার দুর্নাম ঘুচাতে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে। হয় ইয়াবা ব্যবসা ছাড়তে হবে, নতুবা এলাকা ছাড়তে হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যাদের বিরুদ্ধে ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে তাঁরাও সাবধান হয়ে যান’।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ বলেন ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের রোড পরিবর্তন করে বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উপকুলবর্তী ঘাট ব্যবহার করছে। প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদাররা ধরা পড়ছেনা। কারা ব্যবসায়ী আর গডফাদার তা আইনশৃংখলা বাহিনী ও সাংবাদিকরা জানেন। ধরা পড়ার পর তার সংখ্যা কত ছিল তা অল্প সময়ের মধ্যে এলাকায় প্রকাশ হয়ে যায়। টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর পথে যাচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। বিশেষ করে মহেশখালীয়াপাড়া, তুলাতলী, লম্বরী এবং আশপাশের ঘাট দিয়ে প্রতি রাতেই লক্ষ লক্ষ ইয়াবা খালাস হচ্ছে। ইয়াবার ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় দেয়া যাবেনা। সে যত বড় ক্ষমতাধর, টাকার মালিক বা নিকটাতœীয় হউক। সকল মহলের আন্তরিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইয়াবা নির্মুল করে টেকনাফের দুর্নাম ঘুচাতে হবে। খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাদের তালিকা করতে বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও জমা দেয়া হয়নি’।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুমন বড়–য়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিস তাহেরা আক্তার মিলি, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর হোসেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর প্রতিনিধি, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়–য়া, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, বিজিবির প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মিসেস হ্লাম্যাছা, কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জহির হোসেন এমএ, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মিনারুল ইসলাম, টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, হ্নীলা ইউনিয়নের প্যানেল-১ মোঃ আবুল হোসেন মেম্বার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে দুপুরে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ। সভায় দপ্তরওয়ারী আলোচনা এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান নুর হোসেন :

সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর হোসেন তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন ‘ইয়াবার বড় বড় চালানে মালিক ধরা না পড়া খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া ইয়াবা ব্যবসাকে নিরাপদ করতে সব ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই দামী অস্ত্র কিনে ব্যবহার করছে। সর্বত্রই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী শুনা যাচ্ছে। সেই সাথে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেপরোয়া ও অবৈধ মোটর সাইকেলের অপতৎপরতা। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহু মামলার ফেরারী আলী এবং শাকের এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। অবৈধ অস্ত্র এবং রাত-দিন বিশেষতঃ গভীর রাতে বেপরোয়া ও অবৈধ মোটর সাইকেলের অপতৎপরতা রোধ করা না হলে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ হবেনা’।


ইয়াবার কি মোবাইল আছে ?

মালিকবিহীন ইয়াবার বড় বড় চালানে মালিক ধরা না পড়া নিয়ে এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ‘ইয়াবার হাত-পা নেই। পাখাও নেই। মোবাইলও নেই। কিন্ত বাস্তবে দেখি আছে। তা না হলে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা কিভাবে মালিক ছাড়া ধরা পড়ে। নাকি হাত-পা ব্যবহার করে সাঁতরে এসেছে। নাকি উড়ে এসেছে। নাকি মোবাইল ফোনে বলেছে অমুক স্থানে আমরা এত লক্ষ পিস ইয়াবা পড়ে রয়েছি। তাড়াতাড়ি এসে উদ্ধার কর’।

সেন্টমার্টিনদ্বীপ :

সেন্টমার্টিদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন ‘সেন্টমার্টিদ্বীপ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এজন্য শুধু টেকনাফ নয়, পুরো জেলাবাসী গর্বিত। কিন্ত সাগর বেষ্টিত দুর্গম এ দ্বীপে বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে কাংখিত উন্নয়ন হচ্ছেনা। এনিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ সরকারের সমালোচনা করছে। তাছাড়া পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনে বসবাস করার জন্য সেমিপাকা ঘর তৈরী এমনকি সংস্কার-মেরামত করতে পর্যন্ত বাধা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া দ্বীপে কতিপয় জেলে ইয়াবার চালান ছিনতাই করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া সোর্স হিসাবে কিছু লোক অবাধে ইয়াবার প্রসার ঘটাচ্ছে। তাদের দেখাদেখি অনেকেই ইয়াবা ছিনতাই এবং সোর্স কাজে নেমে পড়েছে। তাছাড়া সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে মালিকবিহীন ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় পরিষদের ২ জন নির্বাচিত মেম্বারসহ একই পরিবারের ৫ ভাইকে আসামী করে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমরা মাদক, ইয়াবাসহ সকল প্রকার অপকর্মের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। মাদক আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এধরণের হয়রানীর শিকার হওয়া কোন মতেই কাম্য হতে পারেনা’।

ওসি রনজিত বড়–য়ার সাহসী ঘোষণা :

টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভায় টেকনাফ মডেল থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়–য়ার সাহসী ঘোষণা চমক সৃষ্টি করেছে। এতে সভায় উপস্থিত সকলেই আশান্বিত হয়েছেন। তিনি কঠোর কন্ঠে ঘোষণা দিয়ে বলেন ‘আমি টেকনাফের জন্য নতুন নই। সবই আমার জানাশোনা। সবেমাত্র যোগদান করেছি। আমাকে সকলেই চিনেন ও জানেন। এটি আমার প্রথম সভা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের সফল বাস্তবায়নে এসপি ও এএসপি মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় মাদক, ইয়াবা, সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে কোন ছাড় নয়। কোন আপোষও নয়। কোন অপরাধীই ছাড় পাবেনা। আমি টেকনাফ থানায় থাকাকালে কোন মিথ্যা বা হয়রানীমুলক মামলা হবেনা। সকল প্রকার অপরাধী, মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের রেহাই নেই। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। তা আরও জোরদার করা হবে। অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে। টেকনাফের পরিবর্তন আনতে এবং দুর্নাম ঘুচাতে আমার দরকার সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা। তবে আমার খুবই দুঃখ লাগে যখন জানতে পারি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ত’।

ইভটিজিং :

টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী চৌধুরী বলেন ‘কয়েকটি পয়েন্টে বখাটে ছেলেরা স্কুল ছাত্রীদের যাতায়ত পথে উত্তক্ত করছে। তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে’।

তদন্ত কমিটি :

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারী নির্দেশনা পরিপন্থী টেকনাফ ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ। অপর ২ জন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুমন বড়–য়া এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ আলমগীর কবির। সংবাদের সত্যতা তদন্ত করে আগামী মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তবে এনিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুমন বড়–য়া সভায় হাস্যকর কথা বলেছেন। তিনি বলেন ‘সাংবাদিকদের মধ্যে গ্রুপিং থাকার কারণে এধরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে’। সাংবাদিদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের সাথে হাসপাতালে রোগীদের মাঝে সরকারী নির্দেশনা পরিপন্থী খাবারের কি সর্ম্পক তা অবশ্য তিনি ব্যাখ্যা দেননি। উপস্থিত সদস্যদের মধ্যেও কেউ ব্যাখ্যা দাবি করেননি।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...